চিয়া সিড খাওয়ার অনেক উপকারিতা আছে । এটি এক ধরণের বীজ । এবং আরবে এটা সুপার ফুড বলা হয় । কারণ এর খাদ্যমান খুবই বেশী এবং এটি মানব শরীরের শক্তি এবং ক্ষমতা বাড়ায় । তাই আসুন এর উপকারিতা এবং এটা খাওয়ার নিয়ম গুলো আমরা জেনে নেই । তবে এটি অতিমাত্রায় খেতে নেই । তাহলে পেটের সমস্যা হতে পারে ।
চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা:
1. উচ্চ পুষ্টিগুণ:
– চিয়া সিডে প্রচুর প্রোটিন, ফাইবার, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, এবং বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে।
2. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়:
– চিয়া সিডের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
3. ওজন কমাতে সহায়তা করে:
– ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি পেট ভরিয়ে রাখে এবং দীর্ঘসময় ক্ষুধা লাগতে দেয় না।
4. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে:
– চিয়া সিড রক্তের শর্করা স্তর নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে।
5. হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখে:
– ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকায় চিয়া সিড হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
6. এন্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ:
– চিয়া সিডে প্রচুর এন্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরের কোষকে ক্ষতিকর মুক্ত মৌল থেকে রক্ষা করে।
চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম:
1. পানি বা দুধে ভিজিয়ে খাওয়া:
– ১-২ টেবিল চামচ চিয়া সিড এক গ্লাস পানি বা দুধে ভিজিয়ে ৩০-৫০ মিনিট রেখে দিন। সিডগুলো ফুলে গেলে এটি খাওয়ার উপযুক্ত হয়।
2. স্মুদি বা জুসে মিশিয়ে:
– যে কোনো স্মুদি বা ফলের রসের সাথে চিয়া সিড মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পায়।
3. সালাদের সাথে:
– সালাদের উপর ছিটিয়ে দিয়ে খাওয়া যায়। এটি সালাদের স্বাদ ও পুষ্টি বাড়ায়।
4. দই বা ওটমিলে মিশিয়ে:
– দই বা ওটমিলের সাথে চিয়া সিড মিশিয়ে খাওয়া যায়। এটি একটি পুষ্টিকর নাস্তা বা ব্রেকফাস্ট হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।
5. চিয়া সিড পুডিং:
– ১ কাপ দুধ বা নারকেল দুধে ৩-৪ টেবিল চামচ চিয়া সিড মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। চিয়া সিড ফুলে গেলে মধু বা ফলের সাথে মিশিয়ে পুডিং হিসেবে খেতে পারেন।
চিয়া সিড খাওয়ার সময় মনে রাখতে হবে যে, বেশি পরিমাণে খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই প্রতিদিন ১-২ টেবিল চামচ খাওয়া নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর।